গ্রিনলাইনের আঘাতে পা হারানো রাসেলকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

রাসেল সরকাররাজধানীতে গ্রিনলাইন পরিবহনের ধাক্কায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে (২৩) ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাসেলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার সামসুল হক রেজা ও জহির উদ্দিন লিমন।  গ্রিনলাইনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হারুনর রশিদ।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাসেলের চিকিৎসাসংক্রান্ত যাবতীয় খরচ গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে এবং তার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতেও বলা হয়। কর্তৃপক্ষ রাসেলকে দশ লাখ টাকার চেক দেয় এবং কৃত্রিম পা সংযোজন করে। তবে এরপর আর কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি তারা।

আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন জানান, এর আগে আদালত রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন। তবে করোনায় ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির মুখে থাকায় এই রায়টি অনেকটা আপসের ভিত্তিতে হয়েছে। গ্রিনলাইন পরিবহনকে আগের দশ লাখ লাখ টাকা ও চিকিৎসা খরচের সঙ্গে আরও ২০ লাখ টাকা পরিশোধের রায় দেন আদালত।     

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালক রাসেলের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাসেলের বাঁ পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়িতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তার বাসা।

এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং রাসেলের কৃত্রিম পা সংযোজন করে দেয়।