অবৈধ ঝুলন্ত তার অপসারণ উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, ‘তারের জঞ্জাল আজ থেকে ১০ বছর আগে যে অবস্থায় ছিল, এখনও একই অবস্থা আছে। কিন্তু এই শহরকে এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। মনে হচ্ছে ঝুলন্ত তার মানেই ঢাকা শহর, ঢাকার আসল চিত্র। এই যে দেখুন, এই জায়গাটির একদিকে ফাইভ স্টার হোটেল, আরেক দিকে তারের জঞ্জাল। কিন্তু ঢাকার এই চিত্র আমরা কেউ দেখতে চাই না। তাই আমি গত কোরবানির ঈদের আগে বলেছিলাম, ১ অক্টোবর থেকে ঝুলন্ত তারগুলো নামিয়ে দেবো।’
মেয়র বলেন, ‘আমরা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর সঙ্গে সাতবার সভা করেছি। সবাইকে নিয়ে সিরিজ অব মিটিং করেছি সমস্যাটি সমাধানের জন্য। একটি কথা জানাতে চাই, যখনই আমরা মিটিং করেছি, এনটিটিএন, আইএসপিএবি, কোয়াবের সঙ্গে; মনে হয়েছে একজনের সঙ্গে আরেকজনের শত্রুতা। আইএসপিএবি দোষ দেয় এনটিটিএনকে, এনটিটিএন দোষ দেয় কোয়াবকে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে এনটিটিএন কাজ করছে না। আমি মনে করি, এটি এনটিটিএন এর ব্যর্থতা। তারা ১০ বছর হলো লাইসেন্স নিয়েছে, তারা কেন মাটির নিচ দিয়ে লাইন নেয়নি। তাদের সঙ্গে মিটিং করে আমাদের রাস্তার পাশে যেসব ড্রেন আছে এগুলোর নিচ দিয়ে পাইপ বসিয়ে দেবো বলেছি। উনারা রাজি হয়েছে। এর বাবদ ডিএনসিসিকে তারা ভাড়া দেবে। আমি ইতোমধ্যে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের যত নতুন রাস্তা হবে, সেই রাস্তাগুলোর নিচ দিয়ে লাইন নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা রাখা হবে। আমরা চাই একটা স্থায়ী সমাধান। গুলশান অ্যাভিনিউ এর তার অপসারণের পরে গুলশান-১ থেকে রাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশে, গুলশান ২ থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দিকের সব তার অপসারণ করা হবে।’
মেয়র শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ যদি ঢাকা শহরের তার পুরোটা কেটে দিই, তাহলে ঢাকা শহর কলাপ্স হয়ে যাবে। আমাদের বাচ্চাদের পড়াশোনা হবে না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যেভাবে অভিযান পরিচালনা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে ডিএনসিসির সম্পূর্ণ এলাকার তার নামিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। এটা আমাদের নামাতেই হবে।’
ঝুলন্ত তার অপসারণকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, কোয়াব এর সভাপতি এস এম আনোয়ার কবির, আইএসপিএবি এর সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।