শীতে অধিক সামাজিক মেলামেশাই সংক্রমণ বাড়াতে পারে: ডা. মুশতাক

ডা. মুশতাকে হোসেনরোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, শীতপ্রধান দেশে যেখানে বদ্ধ ঘরে বাতাস চলাচল নেই, একসঙ্গে অনেক মানুষ এক জায়গায় থাকে, তাদের মধ্যে রোগটা ছড়ায় বেশি। তাই সেখানে করোনার সংক্রমণ আবারও নতুন করে শুরু হয়েছে। তিনি বলেন,  ‘আমাদের দেশেও সামাজিক মেলামেশা যদি একটু বেশি বাড়িয়ে দেই, এখানেও করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে।’

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। করোনা ভাইরাসের গতি-প্রকৃতি ও করণীয় বিষয়ে এই অনলাইন আলোচনার আয়োজন করা হয়। 

ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘রোগ তাত্ত্বিক পূর্বাভাস থেকে বলা যায়, শীতের তাপমাত্রার সঙ্গে ভাইরাসের ছড়ানো নির্ভর করে না। শীতে আমাদের দেশে শুষ্ক মৌসুম, এখানে সামাজিক মেলামেশা বেশি হওয়ার একটি পরিস্থিতি আছে। যেটা গরমের সময় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে বিমান চলাচল আগের চেয়েও বেড়েছে, সেখান থেকেও আসতে পারে। সামাজিক মেলামেশা বেড়ে যাওয়া, আর বিমান চলাচল এই দুটো মিলিয়ে আমাদের আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।’

ওয়েবিনারে বিশ্ব স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের কাছে ডাটাগুলো আছে যে, শীতকালীন এবং গ্রীষ্মকালীন দেশগুলোতে একইভাবে ছড়িয়েছে করোনা। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে— আপনি কোন ঘরে থাকেন। শীত প্রধান দেশে মানুষরা কাছাকাছি গাদাগাদি করে থাকে, সেটার কারণে একটা সম্ভাবনা থাকে। আগের বৈশ্বিক মহামারির সময় দ্বিতীয় ঢেউ কিন্তু দেখা গেছে। কাজেই আমাদের শীতকাল এবং গরমের সময় দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি। ’   

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গ্লোবাল হেলথের ক্লিনিক্যাল অধ্যাপক রডনি হফ বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং মাস্ক পড়া দুটি একসঙ্গে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনার সংক্রমণ কমানো সম্ভব।’