সোমবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন এ আদেশ দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোখলেছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,‘রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা ইস্যু করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,২০০২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আসামি শামীম ওরফে সাগরের সঙ্গে বাদীর মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিরে পর থেকে আসামি বিভিন্ন সময়ে বাদী বা তার শ্বশুরের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য টাকা নিতো। চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারলে বাদীর মেয়েকে (স্ত্রী) মারধর করতো। এরপর ২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাদীর খিলক্ষেত বাসায় এসে আসামি তার স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিনকে ড্রয়িংরুমে চুরি দিকে পেটে আঘাত করে। এরপর বাদী তার মেয়েকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াসমিন মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল হাই বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে খিলক্ষেত থানার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আইনুল ইসলাম ২০০৬ সালের ২৪ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর একই বছরের ১৫ জুন আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।