বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (বরখাস্ত) ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ( ২২ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ  আদেশ দেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়,আদালত থেকে দুই দফা সমন পাঠানোর পরও তা কার্যকর না হওয়ায় বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরোয়ানা জারির এ আদেশ দিয়েছেন আদালত।

চলতি বছরের  ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সেন্ট্রাল ল কলেজের  ছাত্র এবং বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ রিয়াদ মিয়া আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামি ইনামুল হাসানকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম বাজার মোড়ে স্থানীয় কিছুলোক দুস্থদের জন্য সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে ঘর বরাদ্দ, বয়স্ক, বিধবাদের জন্য ভাতার অনিয়মের বিষয়ে চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানকে জবাবদিহিতা করতে বললে তিনি  স্থানীয় লোকদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। তখন ন্যায় কোথায় ছিল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কোথায় ছিল? শেখ মুজিবুর রহমান তো পকিস্তান ভাঙছেন, দুই পাকিস্তান এক থাকলে দেশ আরও সুন্দর হতো। বঙ্গবন্ধু্কে নিয়ে লাফালাফির কী আছে? তার (আসামির) বাবা রাজাকার হয়েছে তাতে কী হয়েছে। তোদের শেখ হাসিনা কি তাই বইলা আমার চেয়ারম্যান হওয়া ঠেকাইতে পারছে?’ তার এই বক্তব্য একটি দৈনিক এবং দুইটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। 

জানা গেছে, চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সম্প্রতি বরখাস্ত হয়েছেন।