নন-এমপিও শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি

শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন নন-এমপিও শিক্ষক নেতারা ২৮ বছরের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে এমপিওভুক্ত কলেজের নন-এমপিও শিক্ষকরা জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তি চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর মন্ত্রীর মিন্টুরোডের বাসায় গিয়ে এই স্মারকলিপি দেন শিক্ষক নেতারা।

বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপি দেওয়ার সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাক মনিরুজ্জামান মোড়ল, শিক্ষক নেতা মোসলে উদ্দিন রিফাত, হারুন অর রশিদ এবং কামরুল হাসান লিপু উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধন নীতিমালায় এমপিওভুক্ত কলেজের নন-এমপিও শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসন করে ৪ হাজার ৫০০ শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জনবল কাঠামো অনুযায়ী ডিগ্রিস্তর পর্যন্ত পরিচালিত এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্সের অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে শিক্ষকদের মূল বেতন দেওয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের অনুমোদন দেওয়া হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এই পর্যায়ে কলেজগুলোর জনবল কাঠামোতে স্থান পায় না অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা। ফলে সরকারি বিধিবিধানের আলোকে এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগবঞ্চিত হন তারা। বর্তমানে ৩১৫টি এমপিওভুক্ত কলেজে নন-এমপিও শিক্ষক রয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার।