মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, জেসমিন প্রধান দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় পাপুল-সেলিনা দম্পতির অবৈধ অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বৈধতার রূপ দিতে সহযোগিতা করেন। এজন্য ‘লিলাবালি’ নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধান পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেছেন।
এছাড়া জেসমিন প্রধানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। তার বোনের স্বামী এমপি শহীদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, গত ২২ জুলাই কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে সেলিনা ইসলাম ও জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এর আগে গত ২২ জুন পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক। গত ১৭ জুন সেলিনা, ওয়াফা ও জেসমিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মানব ও অর্থ পাচার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েত সরকার। বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি মামলাটির তদন্ত করছে।