এ ঘটনার পর গত ৫ নভেম্বর চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে র্যাবকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই জমিটি সে সময়ের হাবিব ব্যাংকের ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর হাবিব ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংক একীভূত করে গঠন করা হয় অগ্রণী ব্যাংক। আর সেখানেই করা হয় ব্যাংকটির শাখা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই শাখার উদ্বোধন করেন। সেখানে তার একটি ব্যাংক হিসাবও ছিল।
ওই জমিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় পরে ব্যাংকটির শাখা পাশের একটি ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়। আর এই জমিতে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই ঘটনায় গত ২০ মে চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই শাখার দায়িত্বে থাকা সহকারী মহাব্যবস্থাপক বৈষ্ণব দাস মণ্ডল। ১৫ জুন র্যাব-৩ এর কাছেও অভিযোগ দেন তিনি।
সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনও ব্যবস্থা না নিলেও গত ২৬ অক্টোবর নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেফতারের পরদিন জমিটি উদ্ধার করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে ৪ নভেম্বর রাতে আবার হাজী সেলিমের লোকজন জমিটি দখল করে নেয় বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যদিও ব্যাংকটির কোনও কর্মকর্তা নিজের পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে ব্যাংকের গড়ে তোলা সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রবেশদ্বারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে হাজী সেলিমের লোকজন। গেটে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে জমির মালিক হিসেবে হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশানারা বেগমের নাম লেখা রয়েছে।