ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে ৪ নেতার পদত্যাগ

ছাত্র অধিকার পরিষদকোটা আন্দোলন করে পরিচিতি পাওয়া সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের খুলনা মহানগরের দায়িত্ব থেকে সংগঠনটির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতা পদত্যাগ করেছেন৷ সংগঠনের অভ্যন্তরীণ চরম বিশৃঙ্খলা, স্বৈরাচারী মনোভাব ও সংবেদনশীল কিছু বিষয়ে অভিযোগ তুলে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করা হয় বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়৷

পদত্যাগকারীরা হলেন- খুলনা মহানগরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ, খুলনা জেলার সহ-সভাপতি নিশাত তাসনিম, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী আরিফ, খুলনা মহানগরের অর্থ সম্পাদক শান্ত আহমেদ৷

তবে, সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগের অভিযোগে বিভিন্ন কারণে তারা পদ থেকে অব্যাহতি নিতে  বাধ্য হয়েছেন।’

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সংগঠনটির মধ্যে ইতোমধ্যে বিভক্তি প্রকাশ পেয়েছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামী করা হয় সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এবং নুরুল হক নুরসহ আরও কয়েকজন নেতাকে৷ এর পর সংগঠনের মধ্যে বিভক্তি সামনে চলে আসে৷ সর্বশেষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এপিএম সুহেল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে (ছাত্র অধিকার পরিষদের আগের নাম) আরেকটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করে৷ এর পর দুটি সংগঠন পাল্টাপাল্টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে একে অপরের বিরুদ্ধে৷ এরপর খুলনা মহানগরের নেতৃত্ববৃন্দও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করে৷

সার্বিক বিষয়ে জানতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়৷

সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ফোন দিয়ে তাকেও পাওয়া যায়নি৷

তবে, সংগঠনটি আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খুলনা মহানগরের যে চারজন নেতৃবৃন্দ পদত্যাগ করেছেন, তারা মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা থেকে চাপ প্রয়োগের জন্যই অব্যাহতি নিয়েছেন৷ তারা আমাদের জানিয়েছেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এখন তারা সেটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন৷ সেজন্যই অব্যাহতি নিয়েছেন।