অধ্যাপক জিয়ার বিরুদ্ধে ২ মামলার প্রতিবেদন ১৭ ফেব্রুয়ারি

অধ্যাপক জিয়াউর রহমানএকটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে ‘মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করে বক্তব্য দেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জিয়াউর রহমান— এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মামলা দুটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন পরবর্তী এ দিন ধার্য করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম এবং আইনজীবী ইমরুল হাসান মামলা দুটি দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ শেখ ওমর শরীফ জিয়াউর রহমানের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, ‘সম্প্রতি ডিবিসি নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলের উপসংহার নামক টকশোতে ধর্মীয় বিভিন্ন প্রত্যয়ের অপব্যাখ্যা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমান। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনও ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘টকশোতে জিয়াউর রহমান ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ২৯ ধারায় অপরাধ করেছেন।’

নোটিশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে অধ্যাপক জিয়াউর রহমানকে মুসলিম শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা বিষয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের বেআইনি কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায়, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।