নুরের ওপর হামলা: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতিসহ ৯ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন

নুরুল হক নুরঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ নয় জনকে অব্যাহতির আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ। গত ১০ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অব্যাহতির এ আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আকতারুজ্জামান ইলিয়াস। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, গত ১০ অক্টোবর আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। আগামী ১৩ জানুয়ারি প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন-বুলবুল গ্রুপের ৩৫/৪০ জন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে টেলিনর কর্তৃক রাষ্ট্রপতি বরাবর উকিল নোটিশ প্রদানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। আনুমানিক সাড়ে ১২টায় মামুন-বুলবুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। মধুর ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে ডাকসুর সামনে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মামুন, রাশেদ, ফারুকহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন নেতাকর্মীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যার ফলে উভয়পক্ষের কয়েকজন ধাক্কাধাক্কির মাঝে নিচে পড়ে আহত হয়। আর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার অনুসারীরা একটি ইস্যু তৈরি করে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরে। যার কারণে বাদী ঘটনা প্রত্যক্ষ না করে লোকমুখে শুনে মামলাটি দায়ের করেন।
এতে বলা হয়, মামলাটি প্রমাণের স্বপক্ষে কোনও সাক্ষ্য, প্রমাণ ও আলামত তদন্তকালে পাওয়া যায়নি। তদন্তকালে ভিকটিম নুরুল হক নুর দায়েরকৃত সম্পূরক এজাহারের বর্ণিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মামলা প্রমাণের স্বপক্ষে বাদী এবং ভিকটিমরা কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তাই মামলার এজাহার নামীয় আসামি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলসহ নয় জনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখার সভাপতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, মেহেদী হাসান শান্ত ও মাহবুব হাসান নিলয়।