একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানি হাইকমান্ডের বিচার দাবি

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি



আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানি হাইকমান্ড এবং তাদের এ দেশীয় সহযোগী সংগঠনসমূহের বিচার দ্রুত শুরু করার জন্য ফের সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। 

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে কাজী মুকুল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 
বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতে একাত্তরে দেশটির হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত যখন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন তখন তাকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘৭১-এর নৃশংসতা ভোলার নয়, এ ক্ষত চিরকাল থাকবে। বিজয়ের মাসে ১৯৭১-এ বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার বিষয়টি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
নির্মূল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৯ বছর ধরে আমরা ‘৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচার এবং ধর্মের নামে পাকিস্তানপ্রেমী জামায়াতে ইসলামী গংয়ের গণহত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের আন্দোলন করছি। আমরা পাকিস্তানকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তান ‘৭১-এর গণহত্যার জন্য সরকারিভাবে ক্ষমা না চাইবে, গণহত্যার জন্য দায়ী সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার না করবে কিংবা বিচারের জন্য বাংলাদেশের কাছে সোপর্দ না করবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রাপ্য সম্পদ বুঝিয়ে না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।’
বিবৃতিতে বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবীসহ অনেকে স্বাক্ষর দিয়েছেন বলে জানানো হয়।