রানাপ্লাজা ভবন ধস মামলা

আত্মসমর্পণের পর রানার চার সহযোগী কারাগারে

রানা প্লাজা ধস, ফাইল ছবিসাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানার চার সহযোগী আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমিন এ আদেশ দেন।
সোহেল রানার চার সহযোগী আতাউর রহমান, আব্দুস সালাম, বিদ্যুৎ মিয়া ও আমিনুল ইসলাম  আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২১ ডিসেম্বর এই চারজনসহ ২৩ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন সাভার পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, পৌর নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের সাবেক উপ-প্রধান পরিদর্শক মো. আব্দুস সামাদ, উপ-প্রধান পরিদর্শক (সাধারণ, ঢাকা বিভাগ) মো. জামশেদুর রহমান, উপ-প্রধান পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিদর্শক (প্রকৌশল) মো. ইউসুফ আলী, ঢাকা বিভাগের পরিদর্শক (প্রকৌশল) মো. সহিদুল ইসলাম, রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মো. আওলাদ হোসেন, ইতার টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস, মো. শফিকুল ইসলাম ভুইয়া, মনোয়ার হোসেন বিপ্লব, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জনি, রেজাউল ইসলাম, ঠিকাদার নান্টু, মো. আব্দুল হামিদ, আব্দুল মজিদ, নয়ন মিয়া, মো. ইউসুফ আলী ও তসলিম।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার পৌরসভা এলাকায় একটি নয় তলা ভবন ধসে ১১৩৫ জনের প্রাণহানি হয়, যাদের প্রায় সবাই ওই ভবনের বিভিন্ন তলার তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ধসের ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে তাকে ভারত সীমান্তের কাছে বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তখন থেকেই রানা কারাগারে আছেন। এ ঘটনায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে দায়ের করা দুই মামলায় চলতি বছরের ১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ৪২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন।

/ইউআই/এমএনএইচ/