বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সেই ইউপি সদস্যের জামিন আবেদন

সুপ্রিম কোর্ট

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার আসামি স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ মেম্বার (৪৫) জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ জামিন আবেদন করা হয়।

আদালতে আসমিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. অজি উল্লাহ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।  

জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ মামলায় পিবিআইয়ের দাখিল করা চার্জশিট চেয়ে শুনানি মুলতবি করেন। গত ১৫ নভেম্বর ওই ঘটনায় প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  একইসঙ্গে চার্জশিটে মামলা দুইটি থেকে গ্রেফতার আসামি রহমত উল্যা ও মাইন উদ্দিন শাহেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে চার জন এখনও পলাতক রয়েছে।

অভিযুক্ত আসামিরা হলো—দেলোয়ার হোসেন দেলু, জামাল উদ্দিন ওরফে প্রবাসী জামাল, নূর হোসেন বাদল, আব্দুর রহিম, মোহম্মদ আলী ওরফে আবুল কালাম, সামছুদ্দিন সুমন ওরফে কন্ট্রাক্টর সুমন, ইসরাফিল হোসেন মিয়া, মাইন উদ্দিন সাজু, নূর হোসেন রাসেল, আনোয়ার হোসেন সোহাগ, আব্দুর রব চৌধুরী ওরফে লম্বা চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে আরিফ, মিজানুর রহমান ওরফে তারেক ও মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ মেম্বার।

প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে আসেন এবং তাদের ঘরে ঢোকেন। বিষয়টি দেখে ফেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। এরপর রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা অভিযোগ তোলে যে, ওই নারী পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত। পরে দেলোয়ার বাহিনীর দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। তিনি এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করে।

একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। পরে ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হলে আদালতের নির্দেশে ভিডিওটি অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।