জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তবে কবে ফল প্রকাশ করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া সময় ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। জাতীয় পরামর্শক কমিটি সে লক্ষ্যে কাজ করছে।’
জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নম্বরপত্র তৈরি সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘না এমন কিছু আমরা পাঠাইনি। কেউ যদি বলে থাকে তাহলে এটা ঠিক নয়। এখনও কাজ চলছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটি দিনরাত পরিশ্রম করছে, ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল যাতে দেওয়া যায়। ডিসেম্বরে পারবো কিনা জানি না। তবে শিক্ষামন্ত্রীর টাইমলাইন ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এইসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। জেএসসি, জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরি করা হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা এবং সর্বশেষ এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে দুই মন্ত্রণালয়। এরপর ঘোষণা দেওয়া হয়, জেএসসি ও জেডিসি এবং এসএসসি এ দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তিকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল তৈরি করা হবে। থাকবে নম্বরপত্র, যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কোনও ক্ষতি না হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়। শিক্ষার্থীদের ফলাফল তৈরির সুপারিশের জন্য একটি জাতীয় পরামর্শক কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক নম্বর নির্ধারণ করা হবে।