ব্লগার রাজীব হত্যার রায় আজ



ব্লগার রাজীবব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার মামলার রায় আজ। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৩  এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে সোমবার আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ট্রাইবুনালের বিচারক সাঈদ আহম্মেদ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। দেশে এই প্রথম কোনও ব্লগার হত্যা মামলার রায় দেওয়া হচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন ব্লগার রাজীব। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডাক্তার নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পেশায় স্থপতি রাজীব ‘থাবা বাবা’ নামে ধর্মান্ধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের বিরোধিতাকারীদের বিপক্ষে লেখালেখি করতেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের ইন্সপেক্টর নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকার সিএমএম আদালতে আটজনকে অভিযুক্ত করে প্রায় এক বছর পর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০) ও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীকে।
আদালত সূত্র জানায়, এ বছরের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। বিচার শুরুর পর এ মামলায় ৫৫ জন সাক্ষির মধ্যে ৩৫ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অভিযুক্ত এ সব ছাত্র আনারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। রেদোয়ানুল আজাদ রানা পলাতক রয়েছেন। গোয়েন্দাদের ধারণা, রাজীব হত্যার পরপরই রানা অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যান। অন্যরা কারাগারে আটক রয়েছেন।

রাজীব হত্যাকাণ্ডের পর এ পর্যন্ত শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী, ব্লগার, লেখক-প্রকাশক মিলে ছয় জনকে একই পদ্ধতিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

 

/জেইউ/এমএনএইচ/আপ-এসএম