‘জানুয়ারির মাঝামাঝিই ভ্যাকসিন পেতে পারি’

133697121_2077499512549532_7539070937108108452_nজানুয়ারির মাঝামাঝিই বাংলাদেশে চলে আসতে পারে ভ্যাকসিন। আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিসিপিএস অডিটরিয়াম হলে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত ডাটা মিডিয়া ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সম্মানসূচক স্বীকৃতি অর্জন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনতে গত ৫ নভেম্বর সরকার চুক্তি করছিল। আজ যুক্তরাজ্য সরকার সেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য সুখবর। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন হওয়া মাত্রই সেটি ভারতের পাশাপাশি আমরাও পেয়ে যাবো।

তিনি আরও বলেন, এরপর আগামী জুন মাসের মধ্যেই গ্যাভি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আরও ৫-৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ না নেওয়ায় ১৮ বছরের নিচে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষকে ও গর্ভবতী প্রায় ৩৫ লাখ মায়েদের ভ্যাকসিন দেওয়া না লাগলে ৫-৬ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োগেই দেশ অনেকটা নিরাপদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ সময় তিনি ব্লুমবার্গের স্বীকৃতিকে ছোট করে দেখার কোনও সুযোগ নেই উল্লেখ করে বলেন, ‘ব্লুমবার্গ কেবল দেশের অর্থনৈতিক সফলতা দেখেই রিপোর্টটি করেনি। প্রতিষ্ঠানটি করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো, টিকাদান সক্ষমতা, চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১০টি মেট্রিক্স বিবেচনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করেছে। কাজেই এই ফলাফল আমাদের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তবে এই ফলাফলে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আরও গতিশীলভাবে কাজে নেমে পড়তে হবে।
এ আয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।