করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় মীর নাসিরের জামিন  

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে তার জামিনে মুক্তিতে আর কোনও বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

জামিন আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার (৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মীর নাসিরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

প্রসঙ্গত, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত মীর নাসিরকে ১৩ বছর ও মীর হেলালকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে মীর নাসির ও মীর হেলাল হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। ২০১০ সালের আগস্টে হাইকোর্ট মীর নাসির ও মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা-ছেলের করা পৃথক আপিল হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।

দুর্নীতির মামলায় মীর নাসিরকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং মীর হেলালকে দেওয়া ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায় বিচারিক আদালতে পৌঁছার তিন মাসের মধ্যে তাদের সেখানে (বিচারিক আদালত) আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এরপর ২০২০ সালের  জানুয়ারিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

পরে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠান আদালত। দণ্ডিত আসামি মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে  ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এএসএম রুহুল ইমরান এ আদেশ দেন।

এরপর মীর নাসির ও মীর হেলাল আপিল বিভাগে আত্মসমর্পণ করে লিভ টু আপিল করেন। একইসঙ্গে জামিন চান।