ডাকাতির পর হত্যা, ২ আসামির দোষ স্বীকার

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় ডাকাতিসহ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার সজল ও সজিবের ফের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এছাড়া এই মামলায় রিমান্ডে থাকা অপর দুই আসামি মুসা ও বাচ্চু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মামুন-উর রশিদ।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ড শেষে চার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। মুসা ও বাচ্চু স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার এবং সজল ও সজিবের ফের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি চার আসামির  তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি, অস্ত্র, চাকু, ৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

পু্লিশ জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে আপন মিয়া ও তার সঙ্গী নজরুল ইসলাম দক্ষিণখানের বাসা থেকে বের হয়ে বিমানবন্দর থানার কাওলায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। তখন কাওরান বাজারগামী একটি পিকআপ ভ্যান এসে দাঁড়ালে উঠে পড়েন তারা। গাড়িতে ওঠা মাত্রই যাত্রীবেশে থাকা ডাকাতরা তাদের ছুরিকাঘাত করে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর ধাক্কা মেরে পিকআপ থেকে ফেলে দেয় আপন মিয়া ও নজরুল ইসলামকে। এর ঘণ্টাখানেক পর আপন মিয়া মারা যান।

এ ঘটনায় আপন মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা  দায়ের করেন।