দেহ ব্যবসার অভিযোগে মানবপাচারের মামলা কেন জানতে এসআইকে তলব

গার্মেন্টসে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে দুই নারীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা না করে মানবপাচার আইনে মামলা করার ব্যাখ্যা জানাতে পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানার এসআই মাছুমের রহমানকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই দুই নারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

ওই দুই আসামির জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অশোক কুমার বনিক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানার মোহাম্মদপুরে আবেদ মঞ্জিলের তৃতীয় তলায় অভিযুক্ত দুই নারী দেহব্যবসা শুরু করেন। তারা ওই ভবনে গার্মেন্টসের নিরীহ শ্রমিকদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে নিযুক্ত করতেন। অনেককে জোর করে এ কাজ করতে বাধ্য করেন। পরে ওই ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসে।

তিনি জানান, গত ৭ নভেম্বর পুলিশ ওই ভবন থেকে ভিকটিমদের উদ্ধার করেন। এসময় অভিযুক্ত দুই নারীকে গ্রেফতার করেন এস আই কাজী মাছুমের রহমান। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ মডেল থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ওই এসআই। কিন্তু মামলাটি করা উচিত ছিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৫ ধারায়। এ কারণে আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ভিন্ন আইনে মামলা করায় পুলিশের ওই কর্মকর্তার ব্যাখ্যা শুনতে তলব করেছেন।