করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় এএসপির মৃত্যু

করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতার কারণে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইসরাত জাহান তন্বী (৩২) মারা গেছেন। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসরাত জাহান তন্বী রাজধানীর উত্তরায় ১১ এপিবিএন-এ কর্মরত ছিলেন।

এএসপি তন্বীর মৃত্যুতে পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় আইজিপি বলেন, ‘মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন অকাল মৃত্যু দুঃখজনক।’ তিনি প্রয়াত তন্বীর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার সাহস যোগাতে এবং তাকে  বেহেশত নসিব করার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।

৩৪তম বিসিএস ব্যাচের মেধাবি এই পুলিশ কর্মকর্তা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। পরে করোনা মুক্ত হয়ে পুনরায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনার ভয়াল থাবায় তার ফুসফুস সংক্রামিত হয়ে যায়। করোনা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলেও পরবর্তী সময়ে একে একে তার শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি তাকে আসগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই সোমবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে এএসপি ইসরাত জাহান তন্বী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এদিন বিকাল ৩টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ শিরু মিয়া মিলনায়তনে এএসপি তন্বীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ঢাকার সকল পুলিশ ইউনিটের এএসপি ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। তারা তন্বীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। পরবর্তীতে এএসপি ইসরাত জাহান তন্বীর কফিনে সশস্ত্র সালাম প্রদর্শন ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

ইসরাত জাহান তন্বী ২০১৬ সালে ৩৪তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১১ এপিবিএন, উত্তরায় যোগদানের আগে তিনি মানিকগঞ্জ জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার (প্রবেশনার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।