দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড 

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

৫৩ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, দীপনকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়। যারা হত্যা করেছেন তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের শক্র। তাকে সাংগঠনিকভাবে হত্যা করা হয়। তাই আসামিদের প্রতি কোনও সহনাভূতি নেই। আদালত জানিয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হলো।  

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলো- মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। মামলায় প্রথম দুই আসামি পলাতক আছেন।

এর আগে আজ সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছয় আসামিকে আদালতে আনা হয়। বেলা ১২টায় বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। এসময় পলাতক দুই আসামি ছাড়া ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।

এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেন। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।