অবিলম্বে সাত কলেজের হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ

অবিলম্বে ঢাকা বিশ্বদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ করেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ই মার্চ) বেলা ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে সমাবেশ করেন তারা। 

সমাবেশে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমরা হল-ক্যাম্পাস খু্লে দেওয়া ও চলমান পরীক্ষা গুলো নেওয়ার দাবিতে নীলক্ষেত মোড়ে রাত ৮টার দিকে আন্দোলন করেছিলাম, সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান পরীক্ষা গুলো নেওয়ার সিদ্বান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। হল-ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার কোনও রূপ রেখা আমরা পাইনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ এখানে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে দাঁড়িয়েছি। আমাদের এই আন্দোলন হল-ক্যাম্পাস খু্লে দেওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। একদিনে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা থাকলেও, তিন চার দিন ভুগতে হচ্ছে।  পার্ক খোলা, সিনেমা হল খোলা, মার্কেট খোলা। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে হল খোলা দরকার সেখানেই আমাদের সরকারের সমস্যা, আমাদের প্রসাশনের সমস্যা।’

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাইমা বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি অবিলম্বে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের হল-ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে। আমরা দেখেছি যে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা এসেছে ৩০ মার্চ স্কুল কলেজ খু্লে দেওয়া হবে। এদের যদি বয়স চলে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে স্নাতক কলেজ-বিশ্বদ্যালয় শিক্ষার্থীরা কী দোষ করলো? এদের বয়স কী থেমে আছে?’ 

তিনি আরও বলেন, ‘করোনায় শিক্ষকার্থীরা টিউশন হারিয়েছে, তাদের বাবা-মা চাকরি হারিয়েছে।  অনেকে টাকা ধার নিয়ে, জমি বিক্রি করে কিছু টাকা জোগাড় করে এসে এখানে থাকছে। তারা বলছে ক্যাম্পাস খুলবে মে তে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর। এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন এসেছে ৯৩ লাখ। তাও প্রথম ডোজ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের  দেওয়ার মত পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন তাদের নাই। আর তাই আমরা চাই মার্চের মধ্যে হল-ক্যাম্পাস খুলে দেবে।’

সমাবেশে তারা জাতীয় বিশ্বদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্বদ্যালয়েরও হল-ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানান।