নারীর প্রতি সহিসংতা নিরসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে

নারীর প্রতি সহিসংতা নিরসনে মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি ব্যক্তি তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও সহিংসতার প্রতিকারে ভূমিকা রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে (৮ মার্চ) সামনে রেখে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও ডেনমার্ক দূতাবাস আয়োজিত ‘উইমেনস ডে ২০২১: চুজ টু চ্যালেঞ্জ ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শনিবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আসক ও ডেনমার্ক দূতাবাস আয়োজিত এই ওয়েবিনারে দুটি প্যানেল আলোচনায় নারীর প্রতি সহিংসতার সমসাময়িক চিত্র তুলে ধরা হয়। বিদ্যমান সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কীভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি করছে বা অসমতা জিইয়ে রাখছে তা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি কিভাবে বিদ্যমান আইনি, বিচারিক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় বিদ্যমান সীমাবদ্ধতাগুলো উত্তরণের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিকার বিধান বা এই ধরনের সহিংসতা নির্মূল করা যায় প্রভৃতি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়। কীভাবে সমাজ ও রাষ্ট্র নারীদের সহিংসতার শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারে। একইসঙ্গে সমাজের প্রতিটি মানুষ কিভাবে যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে পারে, সেই বিষয়গুলো নিয়েও আলোকপাত করা হয়। এই বিষয়ে ওয়েবিনার থেকে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আসক-এর নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল ও ডেনিশ রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন। স্বাগত বক্তব্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল বলেন, ‘নানা ক্ষেত্রে নারীর অসামান্য অবদান সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত নারীদের মুখোমুখি হতে হয় নানা বৈষম্যেরে, অবমাননা, হয়রানি ও সর্বোপরি সহিংসতার। নারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্থনৈতিক বা পারিবারিক অবস্থান যাই হোক না কেনও কেবল নারী বলেই তাকে তার লৈঙ্গিক পরিচয়ের কারণে নানা জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার হতে হয়। কোভিড-১৯ নারীর এই সংগ্রামকে আরও বেশি গভীর করেছে এবং তার জন্য তৈরি করছে নানামুখী প্রতিবন্ধকতা যা বিভিন্ন গবেষণা বা জরিপে সুস্পষ্টভাবে উঠে আসছে।’

ওয়েবিনারে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএন ওমেন এর প্রতিনিধি সোকোই শিকাওয়া, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবি ও আসক-এর নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. ফস্টিনা পেরেইরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসলিমা ইয়াসমিন, জাস্টিস ফর অল এর সমন্বয়ক তকবির হুদা। দুটি প্যানেলে বিভক্ত এই ওয়েবিনারটি সঞ্চলনা করেন ড. ফস্টিনা পেরেইরা এবং সিডি সাইডস এর রিজওনাল মুভমেন্ট বিল্ডার সামারা মুরতাদা আহমেদ।