অলিগলির দোকানে বেশি ভিড়

লকডাউনের মধ্যেও অলিগলির দোকানপাটগুলোয় মানুষের ভিড় দেখা গেছে। প্রধান সড়কগুলোতে ফাঁকা অবস্থা বিরাজ করলেও লকডাউনের লেশমাত্রই নেই অলিগলিতে। দোকানগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য বের হলেও অধিকাংশকেই দেখা গেছে বিনা প্রয়োজনে ঘুরাঘোরি করতে। সকালে নগরীর কাঁচাবাজার ও মোদির দোকানগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পাড়ার দোকানে ভিড়

মালিবাগ কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানুষের ভিড়ে প্রধান সড়কটিতে যানচলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। ভেতরের প্রতিটি দোকানেই মানুষের ভিড় রয়েছে। কারও মুখে মাস্ক আছে, আবার কারও মুখে নেই। গাদাগাদি করেই চলাচল করতেন তারা। বেখেয়ালি বিক্রেতারাও এ নিয়ে কাউকে সতর্ক করছেন না।

মোদি দোকানি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আজ শুক্রবার। সপ্তাহের এ দিনটিতেই বেচাবিক্রি একটু বেশি হয়। যে কারণে কানুষের ভিড়ও একটু বেশি। তার দাবি, মানুষ আগ থেকেই অনেক সচেতন হয়েছে। তবে আরও সচেতন হওয়া দরকার।’

পাড়ার দোকানে ভিড়

একই চিত্র দেখা গেলে খিলগাঁও সিটি করপোরেশনের কাঁচাবাজারে। বাজারটির সরু গলি দিয়ে গা ঘেঁষে যাতায়াত করছেন কাঁচাবাজার করতে আসা নাগরিকরা। এসময় অধিকাংশ মানুষকে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

নগরীর সবচেয়ে বড় বাজার কাওরান বাজারের চিত্রও একই। বাজারের প্রতিটি দোকানই ক্রেতা ভরপুর। কেনাকাটাও করছেন বেশি করে। করোনার প্রথম সময়ে বাজারের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলেও এখন কোথাও তা নেই।

পাড়ার দোকানে ভিড়

নগরীর বিভিন্ন বড়বড় মোদি দোকানগুলোতে দেখা গেছে দোকানের সামনে রশি দিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশের পথ বন্ধ করে রেখেছেন। অথচ রশির বাইরে গাদাগাদি করে পণ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রয়োজন ছাড়াও বহু মানুষ সড়ক মোড় গুলোতে ঘোরা ফেরা করছেন। কারও কারও বল নিয়ে খেলাধুলা করতেও দেখা গেছে।