লোকজনকে ঘরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ

লকডাউনের পঞ্চম দিনে এসে মানুষকে ঘরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউনের একেকটি দিন গেছে আর মানুষের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। রবিবার (১৭ এপ্রিল) ব্যাংক খোলা থাকবে ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাইরে মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। সেই সুযোগ নিয়ে অপ্রয়োজনে যেন কেউ বের না হয় সেটি নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান চ্যালেঞ্জ।

করোনার সংক্রমণের হার এখনও বেশি। মৃত্যুর হারও রেকর্ড অতিক্রম করছে প্রতিদিন। তাই লকডাউন আপাতত আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।

করোনাতে শনিবারও আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০১ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে সরকারি হিসেবে মোট মারা গেলেন ১০ হাজার ২৮৩ জন। শুক্রবারও দেশে ১০১ জনের মৃত্যু হয়।

শনিবার সরকারি ছুটির দিনে করোনার ঊর্ধ্বমুখী ঠেকাতে চলমান লকডাউনের মাঝেও বিভিন্ন অজুহাতে চলাচলের চেষ্টা করছেন অনেকে। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে মানুষের উপস্থিতি বেশি ছিল। আর তাই গন্তব্যের যৌক্তিকতা না থাকায় কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিংবা কাউকে জরিমানা করা হয়েছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে মানুষকে ঘরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত একটি শীর্ষ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেইসভার মতামত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। চলমান ৮ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ২১ এপ্রিল রাত ১২ টায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করছি অপ্রয়োজনীয় কারণে বাইরে না বের হতে। জনগণের সহায়তায় আমরা পাচ্ছি। আমরা এক্সপেক্ট করি নিজের জন্য এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য চিন্তা করে আরেকটু সচেতন থাকবেন নগরবাসী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হবেন না। যারা অপ্রয়োজনে বের হয় তাদের যাচাই-বাছাইয়ের একটি প্রক্রিয়া বিভিন্ন পুলিশ চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। লকডাউন যতদিন চলমান থাকবে পুলিশি তৎপরতা ও জোরদার থাকবে।’