‘ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো খাদ্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্ভাবিত নতুন নতুন অভিঘাত সহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।’ সোমবার (১৯ এপ্রিল) ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ তাপসহনশীল ধানের প্রস্তাবিত জাত এবং বাসমতি টাইপ ধান, হাইব্রিড ধানের গবেষণা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জাতের প্লটসমূহ পরিদর্শন শেষে ব্রি প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশের কৃষকরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী চাষাবাদ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন নিয়ে আসছেন। ধানের জমি অনেক ক্ষেত্রে উচ্চমূল্য ফসলের জন্য ছেড়ে দিতে হচ্ছে। এখন আমাদের অল্প জমিতে অধিক ধান ফলাতে হবে। এ জন্য অভিঘাত সহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার করতে হবে।’

হাইব্রিড ধানের গবেষণা ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জাতের প্লটসমূহ পরিদর্শন করছেন সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামতিনি বলেন, ‘মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। এখন মানুষ সরু চাল খেতে পছন্দ করে। আগে সরু ও সুগন্ধি ধানের জাতগুলো যেখানে হেক্টর প্রতি ২-৩ টন ফলন দিতো। এখন ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল সুগন্ধি জাতগুলো ৫-৬ টন ফলন দিচ্ছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’

সিনিয়র সচিব পরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন গবেষণা প্লট পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পরিদর্শনকালে ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহেদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক  মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।