‘জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন’

‘জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন। যারা জলবায়ু এবং পরিবেশের ক্ষতির জন্য দায়ি তাদেরই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার দায়িত্ব নিতে হবে।’ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত ‘লিডার সামিট অন ক্লাইমেট, গ্লোবাল ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড বাংলাদেশ: এচিভমেন্ট অ্যান্ড অপশনস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা একথা বলেন। 

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. দেলোয়ার হোসেন। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ-বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনায় এতে অংশ নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আতক রহমান, নদী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ডক্টর আইনুন নিশাত এবং পরিবেশ সাংবাদিক কায়সার রহমান।

অনুষ্ঠানে ডক্টর আতিক রহমান গ্রিন হাউজ গ্যাস কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘যারা জলবায়ুর ক্ষতির জন্য দায়ী তাদেরই ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার দায়িত্ব নিতে হবে।’ ‌

ড. আতিউর রহমান প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর জোর দেন।

সাংবাদিক কায়সার বলেন, ‘জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বাংলাদেশই প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এই ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর জন্য বৈশ্বিক উদ্যোগ দরকার।’

ডক্টর আইনুন নিশাত বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী হলেও আগে থেকেই উদ্যোগ নিলে তা অনেকটা কমানো সম্ভব।’ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সাবের হোসেন চৌধুরী জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করে বিশ্বকে সমন্বিতভাবে এ বিপদ মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ-বিষয়ক সম্পাদক এবং এ সংক্রান্ত উপ-কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন অংশ নেওয়া সব বিশেষজ্ঞকে ধন্যবাদের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।