মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার কথা ছিল কার

রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও চিহ্ন ছিল না। করোনা ভীতি উপেক্ষাই তারা ব্যস্ত ঈদ কেনাকাটায়। পছন্দের জিনিস কিনতে এক শপিংমল থেকে অন্য শপিংমলে ছুটছেন। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি জানিয়েছে, যারা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা ঠিক কাজ করছেন না। শনিবার (১ মে) থেকে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে শপিং মলের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। এছাড়া পেট্রোলিং ব্যবস্থা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা সঠিকভাবে মাস্ক পরছেন না। শপিংমলগুলোর প্রবেশ দ্বারে কিছু মনিটরিং থাকলেও ভেতরে তার বালাই নেই। ইফতারের সময় গাদাগাদি করে মাস্ক খুলে খেতে দেখা গেছে।

মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

কয়েকদিন মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ রাখার পরে রবিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে সব দোকান-শপিং মল খুলে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিং মল খোলা রাখার কথা বলা হলেও পরে সময় বাড়িয়ে রাত ৮টা করাহয়।

নির্দেশনা দেওয়া হলেও কেন মানা হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানার ঘোষণা দিয়ে দোকান, বিপণিবিতান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সুযোগ পেয়েছি। সবাইকে মাস্ক পড়তেই হবে। তবে এখনও যারা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা ঠিক কাজ করছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমরা এ ব্যাপারে আরও কঠোর হবো। যদি জানতে পারি, যে বা যারা পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। যেসব দোকান বা বিপণিবিতান, মার্কেট স্বাস্থ্যবিধি মানবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের যেকোনও শাস্তি দিলে দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি তুলবে না।’

মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে নিয়মিত জানতে চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মলের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। এছাড়া পেট্রোলিং ব্যবস্থা রয়েছে।