প্রদীপ হয়ে মোর শিয়রে
কে জেগে রয় দুঃখের ঘরে
সেই যে আমার মা
বিশ্বভূবন মাঝে তাহার নেইকো তুলনা।
মধুর আমার মায়ের হাসি
চাঁদের মুখে ঝরে
মাকে মনে পড়ে আমার
মাকে মনে পড়ে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালিত হয়। আধুনিক পশ্চিমা বিশ্বে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে বিশ শতকের শুরুর দিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে মা দিবস পালনের প্রচলন শুরু হয়। সেটি ধীরে ধীরে আনুষ্ঠানিক রূপ পায় গোটা বিশ্বে।
৯ এপ্রিল রাত ১২টা বাজার শুরুতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাই মায়ের ছবি আর গল্পে ভরে উঠছে। সেলিব্রেটি, গল্পকার, শিল্পী ও সাধারণ মানুষ মায়ের কথা লিখছেন প্রাণভরে।
যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটির প্রবক্তা আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস। তার মা অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিস ছিলেন একজন শান্তিবাদী সমাজকর্মী। ১৯০৫ সালে অ্যান মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর মেয়ে আনা মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ শুরু করেন। সব মাকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি দিবস প্রচলনের লক্ষ্যে সচেষ্ট হন তিনি। ১৯০৮ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার একটি গির্জায় আনা তার মায়ের স্মরণে অনুষ্ঠান করেন। সে বছর মার্কিন কংগ্রেস মা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব নাকচ করে। এরপরও তিনি তাঁর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। অবশেষে আনার প্রচেষ্টা সফল হয়। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস ঘোষণা করেন।
সারাজীবন দিনরাত এক করে যিনি আপনাকে বড় করেছেন তাকে কী উপহার দেবেন এইদিনে? পশ্চিমে বেশি চলে গিফট কার্ড আর ফুল। একসঙ্গে খাওয়া, পোশাক, স্বর্ণালংকার থেকে শুরু করে চকোলেট, যা খুশি দেওয়া যায়। তবে তারচেয়েও বড় উপহার- মাকে ভালবাসি বলা। ফেসবুকে পোস্ট তো ঢের হলো, এবার তবে বলেই ফেলুন।