প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জমির দখল বুঝে পেলো শাহ আবদুল করিমের পরিবার

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপির হস্তক্ষেপে অবশেষে জমির দখল বুঝে পেলো বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের পরিবার।

রবিবার (৩০ মে) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ মে গণমাধ্যমে ‘শাহ আবদুল করিমকে দেওয়া জমি ৫৭ বছরেও পায়নি পরিবার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন প্রতিমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মনিরুল আলম  ও তার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলামকে নির্দেশনা দেন। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক তারা সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুনের সঙ্গে কথা বলে শাহ আবদুল করিমের পরিবারকে জমির দখল বুঝিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।

এরপর দিরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন গত ২৫ মে উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উজানধল গ্রামে যান। বাউল সম্রাটের একমাত্র ছেলে শাহ নূর জালালসহ অন্যদের নিয়ে দিনভর জমির মাপজোক করেন। ওইদিন বিকালে শাহ নূর জালালকে বুঝিয়ে দিয়ে সেই জমিতে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের উজানধল গ্রামে। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা শাহ আবদুল করিম ভূমিহীন ছিলেন। ১৯৬৪ সালে স্থানীয় প্রশাসন জালালপুর গ্রামের পাশে তাকে ২ একর ১১ শতক জমি স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত দেয়। এই জমি তার নামে রেকর্ড হয়েছে। শুরু থেকেই জমির খাজনাও পরিশোধ করেছেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় একটি মহলের বাধার কারণে জীবিত অবস্থায় জমির দখলে যেতে পারেননি তিনি। ২০০৯ সালে মারা যান শাহ আবদুল করিম। এরপর নানাভাবে জমির দখল পাওয়ার চেষ্টা করেন তার ছেলে বাউল শাহ নূর জালাল। অবশেষে সেই জমির দখল বুঝে পেলেন তিনি।