স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো রাজধানী

কয়েকদিনের প্রচণ্ড তাপদাহের পর মুসলধারে বৃষ্টিতে ভিজে গেলো রাজধানী ঢাকা। প্রচণ্ড গরমের পর এই বৃষ্টি রাজধানীবাসীকে শীতল পরশ বুলিয়ে গেলো। সোমবার (৩১ মে) সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাসও দিয়েছিল, বৃষ্টি হবে। বেলা ১১টা ১০ নাগাদ শুরু হয় তুমুল দমকা হাওয়া। এরপরই বৃষ্টি।

ঢাকা ছাড়াও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় আজ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হালকা আবার কোথাও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এর মাধ্যমে কমে আসবে তাপমাত্রা। এরপর তাপমাত্র খুব একটা বাড়বে না। এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘আজ ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। স্বাভাবিক লঘুচাপের প্রভাবেই এই বৃষ্টি হবে। এর সঙ্গে কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’ তিনি জানান, এই বৃষ্টির পর থেকেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। আর বেশি বাড়বে না। জুন মাসের মাঝামাঝি থেকেই মৌসুমী বায়ু ঢুকতে শুরু করবে বাংলাদেশে। এর মাধ্যমে বর্ষাকালের সুচনা হবে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চাঁদপুর, ফেনী, মৌলভীবাজার, মাইজদীকোর্ট ও খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কমে আসতে পারে। সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে, একইসঙ্গে রাতের তাপমাত্রাও কমতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাইজদীকোর্ট ও ফেনীতে, ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে আজ ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ৩৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ৩৪, সিলেটে ৩৩ দশমিক ৭, রাজশাহীতে ৩৩ দশমিক ৭, রংপুরে ৩৩ দশমিক ৫, খুলনায় ৩৬ এবং বরিশালে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, সিলেট ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।