কৃষি খাতে ভর্তুকি নয়, প্রণোদনা: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে মাংসসহ প্রতিটি কৃষিপণ্য আমদানির পরিবর্তে উৎপাদনকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার।এ কারণেই মাংস আমদানিতে ট্যারিফ বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম বাজেট থেকেই আমরা কৃষি খাতে ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়ে আসছি। এটাকে প্রধানমন্ত্রী কখনও ভর্তুকি বলেননি, প্রণোদনা বলেছেন।’

শুক্রবার (৪ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কৃষির বাজেট কমেনি। কৃষিঋণ আগে ১৪ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা ছিল, প্রস্তাবিত বাজেটে সেটা ২২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও খরচ কমাতে আমরা যান্ত্রিকীকরণে যাচ্ছি। প্রস্তাবিত বাজেটে ৬৮০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে এ খাতে।’

তিনি বলেন, ‘গত বছর চালের দাম বেশি ছিল, এবার বোরোর উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এক লাখ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আমাদের হাইব্রিড ধান উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল। এ বছর ৩ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান উৎপাদন হয়েছে।’

কৃষিমন্ত্রী আরও  জানান, গত দুই-তিন বছর ধরেই পোল্ট্রি খাত অনেক লোকসানে আছে। আবার একটি গাভি থেকে দৈনিক ২০ থেকে ৩০ লিটার পর্যন্ত দুধ পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে আমরা চাই, উৎপাদন বৃদ্ধি পাক এবং উদ্যোক্তারা আরও সুযোগ পাক। এতে আমাদের উৎপাদন বাড়বে, আমদানি কমবে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকারের প্রথম মেয়াদে আমরা কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। এবার সরকারের তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বাজেট। আমরা প্রথম বাজেটে ৫ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম, যার প্রথমটি ছিল খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে খাদ্য শস্যের দাম কমিয়ে আনা, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম বছর থেকেই ৮০ টাকা কেজি সারের দাম কমিয়ে ২০ টাকার ঘরে নিয়ে এসেছি। প্রথম বাজেট থেকেই কৃষি খাতে ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়ে আসছি। যেটাকে প্রধানমন্ত্রী কখনও ভর্তুকি বলেননি, এটাকে প্রণোদনা বলেছেন। এর ফলে চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় এক কোটি টন।’