চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন বসবাসের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে দাবি জানিয়েছে চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার।

শনিবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিহতের পরিবারদের সংগঠিত সংস্থার ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের এসব দাবি জানানো হয়েছে।

সংস্থাটির সভাপতি নাছির উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত স্মরণকালের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের প্রথম সূত্রপাতে হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনে ৭০ জন মানুষ মারা যায়। এ ঘটনার পর সরকারিভাবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনও ওই মামলার প্রধান আসামিকে (রাসায়নিক গুদাম মালিক) গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। একই অজুহাতে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়নি পুলিশ।

চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলা থাকার মধ্যেও ওয়াহেদ ম্যানশনটিকে ব্যবহার উপযোগী এবং বসবাস করার অনুমতি দিয়ে খুলে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

সংস্থাটি থেকে মেয়রের প্রতি মামলার নিস্পত্তি না হওয়ার আগেই ওয়াহেদ ম্যানশন ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার ঘোষনাটি অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং ওই ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে দাবি জানানো হয়েছে।

নাছির উদ্দিন আরও বলেন, পুরান ঢাকায় কিছুদিন পরপরই রাসায়নিক গুদাম থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই আতঙ্কে এই ঢাকার মানুষের রাতে ঘুম আসে না। সব শেষে আরমানিটোলার মুসা ম্যানশন নামক এক আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে কয়েকজন মারা গেছেন। পুলিশ দায়ীদের গ্রেফতার করলেও তারা এখন জামিনে আছেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিক উদ্দিন সৈনিক, ফাতেমা আক্তার, ময়না বেগম, বিবি হাজেরা, নুর নবি, হোসনে আরা, শিরিনা আক্তার, রনি আক্তার প্রমুখ।