কর্মীর ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার, বাংলাদেশ পুলিশকে জাতিসংঘের ধন্যবাদ

বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের এক কর্মীর মোবাইল, মানিব্যাগ এবং হাতের আংটি ছিনতাইয়ের পর দ্রুত উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ পত্রটি তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রমেশ চন্দ্র সিংয়ের পাঠানো ধন্যবাদ পত্রটিতে জানানো হয়, আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) থেকে আসা আমাদের জাতিসংঘের এক কর্মী মি. প্রতীক রঞ্জন বিশি ৪ জুন রাত ৯টার দিকে ধানমন্ডি ক্রসিং এলাকায় ২৭ নম্বর রোডের ফুট ওভার ব্রিজের উপর ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ সময় তার অফিশিয়াল মোবাইল ফোন, ব্যক্তিগত স্মার্ট ওয়াচ এবং একটি সোনার আংটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে শেরেবাংলা নগর থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তার আনন্দের বিষয়, থানা থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে তারা ছিনতাই হওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, আমি বলতে পারি যে চুরি বা ছিনতাই হওয়া জিনিসপত্র পুনরুদ্ধার করা এবং এগুলো যথাযথ মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া পুলিশের কাজের মধ্যে অন্যতম কঠিন এবং গর্বিত বিষয়। শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টা, নিবেদিত কঠোর পরিশ্রম এবং এটি সম্ভব করার জন্য দায়বদ্ধতার প্রয়োজন।

ইউএনডিএসএসের পক্ষ থেকে, আমি আপনার দল এবং আপনার নেতৃত্বকে অসামান্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত যে পুলিশ ও নাগরিকদের মধ্যে আস্থা আরও দৃঢ় করবে।

Police

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জাতিসংঘের কর্মীর মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ছিনতাই হওয়া আইফোন, ঘড়ি, আংটি এবং মানিব্যাগটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

তিনি জানান, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইকারীরা তার জিনিসপত্র কেড়ে নেয়। মামলার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযানের পর নোয়াখালী থেকে ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করি। এছাড়া রাজধানীর সাভার, দোহার ও কেরানীগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, থানায় দায়ের করা প্রতিটি অভিযোগকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াও বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ছিনতাই থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পেশাদারিত্বের মধ্য দিয়ে আমরা এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই ধন্যবাদপত্র বাংলাদেশ পুলিশকে আরো উজ্জীবিত করবে।