দূরপাল্লার গণপরিবহনে কড়াকড়িতে যানজট, ভোগান্তি

আশপাশের সাত জেলা লকডাউনের আওতায় থাকায় রাজধানীর থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী থেকে বের হতে পারছে না কোনও ধরনের দূরপাল্লার যানবাহন, বাইরে থেকে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না।

গণপরিবহন চলাচল বন্ধের বিষয়টি তদারকি করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গাবতলী বাস টার্মিনাল, আমিনবাজার ব্রিজ এলাকায় সকাল থেকেই তৎপর রয়েছেন তারা। রাজধানীর বাইরে মানিকগঞ্জ বা সাভার এলাকা থেকে কোনও ধরনের গণপরিবহন রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজধানী থেকে কোনও পরিবহন সাভার-মানিকগঞ্জ-ধামরাইয়ের দিকে যেতেও দেওয়া হচ্ছে না।

রাজধানীমুখী বাসগুলোকে গাবতলী ব্রিজ এলাকা থেকেই ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এতে আশপাশ এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। যানজট গাবতলী এলাকা থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। আর অন্যদিকে আমিনবাজার থেকে সাভার এলাকায় পেরিয়ে যায় যানজটের তীব্রতা।

এ দিকে আজ গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে কোনও দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। যেসব যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য এসেছিলেন, তাদের বিক্ষিপ্তভাবে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। সবাই কোনও না কোনও উপায়ে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, উপায়ন্তর না পেয়ে অনেকেই হেঁটেই রওনা হয়েছেন। হাঁটা যাত্রীদের ‘মরার উপর খাড়া ঘাঁ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।

সাভারের হেমায়েতপুর থেকে আসা তৈয়ব নামে মাদরাসা শিক্ষার্থীর সঙ্গে বালি ব্রিজ এলাকায় কথা হয় প্রতিবেদকের। তৈয়ব যাবেন কুমিল্লায়। তিনি বলেন, আমিনবাজারের বাস স্ট্যান্ডের আগেই প্রচণ্ড যানজট থাকায় ওখান থেকে আমাদের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। হেঁটে হেঁটে এখন সামনের দিকে যাচ্ছি। সিএনজি বা অন্য কোনও কিছু পেলে তা দিয়ে সায়েদাবাদ যাবো। সেখান থেকে কুমিল্লা যাওয়ার চেষ্টা করবো।

বাস-বন্ধে-দুর্ভোগ-2

এই সুযোগে রিকশাওয়ালারাও হাঁকছেন বেশি ভাড়া। আনোয়ার নামে ক্ষুব্ধ এক যাত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি যদি আগে থেকেই জানানো হতো, তাহলে হয়তো আমাদের এতো ভোগান্তি পোহাতে হতো না।

গাবতলী জোনের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর কামাল হোসেন বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা লকডাউন এর আওতায় রয়েছে সে কারণে গাবতলী থেকে কোনও ধরনের গণপরিবহন মানিকগঞ্জের দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ব্যক্তিগত প্রাইভেট যেগুলো যাওয়া-আসা করছে, সেগুলোকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের গন্তব্য সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যুক্তিযুক্ত কারণ মনে হলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনও ভাড়া প্রাইভেটকার সন্দেহ হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তবে পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার আওতায় যেসব পরিবহন চলাচল করছে সেগুলোকে নির্বিঘ্নে যাতায়াতে প্রশাসন সহায়তা করছে বলেও জানান তিনি।