কিশোরের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করলো পুলিশ

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় একটি স্কুলের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে রনি। ১৪ বছর বয়সের এই কিশোরের জন্মের আগেই তার বাবা অন্যত্র চলে যান। এরপর পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে সে, এমনকি মেলেনি পিতৃপরিচয়ের স্বীকৃতিও। তবে সম্প্রতি রনির পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করে দিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে সে পিতার পরিচয় নিয়ে স্কুলে তার নামও তালিকাভুক্ত করেছে।

পুলিশ সদর দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রনির বাবার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার কৈয়ারবিল এলাকায়। তার বাবা পুনরায় বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বিদেশে থাকেন। সম্প্রতি স্কুলে শিক্ষার্থীদের তথ্যভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি ও ইউনিক আইডি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তার পিতৃপরিচয়ের প্রয়োজন হয়, স্কুল থেকে চাওয়া হয় পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি। তাতেই বাঁধে বিপত্তি। সেই কপি আনতে গেলে তার বাবার দিকের আত্মীয়-স্বজন তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। ক্রন্দনরত এই কিশোরের আহাজারি চোখে পড়ে এক নারীর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের ইনবক্সে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এই বার্তা গ্রহণ করে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে জানিয়ে দেয়। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে কিশোরের পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত কর‌তে ও কি‌শো‌রের অভিভাবকত্বের দায়-দা‌য়িত্ব নি‌শ্চিত কর‌তে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, চকরিয়ার থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের তার অধনস্ত এসআই গোলাম সারোয়ারকে দায়িত্ব দেন। সেই সঙ্গে তিনি নিজেও বিষয়টি দেখভাল করতে থাকেন। এসআই গোলাম সারোয়ার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে ওই কিশোরের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর, উভয়পক্ষের সম্মতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধির সহায়তায় কিশোরের পিতৃপরিচয়ের বিষয়টি সমাধান হয়।