হেফাজত আমির বাবুনগরী আর নেই

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর পৌনে একটার দিকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। 

হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রাম শহরের সিএসসিআর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. এমজাদ হোসাইন বলেন, বেলা সাড়ে ১২টায় ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে বাবুনগরীকে হাসপাতালে আনা হয়। আনার পরই আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন।

হেফাজতের একজন দায়িত্বশীল জানান, জুনায়েদ বাবুনগরী ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতকাণ্ডের পরদিন তিনি গ্রেফতার হয়ে আলোচনায় আসেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস পদে নিয়োজিত ছিলেন। 

গত বছর হেফাজতের আমির আল্লামা আহমদ শফী মারা যাওয়ার পর ওই বছরের ১৫ নভেম্বর সম্মেলনে বাবুনগরীকে আমির করে হেফাজতের ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছিল। পরে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল নানা কারণে এই কমিটি ভেঙে দিয়ে পাঁচ জনের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এই কমিটির নেতৃত্বেও ছিলেন বাবুনগরী। এ কমিটি গত ৭ জুন ৩৩ জনে উন্নীত হয়। 

শিক্ষা জীবনে হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়াশোনা শেষ করে হাদিসের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে ১৯৭৬ সালের দিকে পাকিস্তানের করাচিতে দারুল উলুম ইসলামিয়াতে ভর্তি হন জুনায়েদ বাবুনগরী। শিক্ষকতা জীবনে তিনি দীর্ঘসময় হাটহাজারী মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালে নারী উন্নয়ন নীতিমালার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম গঠিত হলে তিনি সংগঠনটির মহাসচিবের দায়িত্ব পান।