চট্টগ্রামের সিআরবি রক্ষায় লংমার্চ ঘোষণা

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) একটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটিকে আত্মঘাতী উদ্যোগ বলে মনে করছে ‘সেইভ ফিউচার বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন। তারা সিআরবিতে হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে। এছাড়া আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা থেকে লংমার্চের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এই সংগঠনটি।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘সেইভ ফিউচার বাংলাদেশ’  আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই লংমার্চ ঘোষণা করা হয়।

সংগঠনটির ৪ দফা দাবি হচ্ছে— সিআরবিকে ‘জাতীয় হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে, সিআরবির প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্যাগে নিতে হবে। সিআরবিতে অবস্থিত বর্তমান রেলওয়ের বক্ষব্যাধি হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে হবে। যারা এই আত্মবিধ্বংসী উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত,তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মানববন্ধনে জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মী মোফাজ আহমেদ বলেন, ‘‘পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, একটু চিন্তা করুন তো আপনারা চাইলেই অন্য জায়গায় একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল বানাতে পারবেন। কিন্তু এই সিআরবির মনোরম পরিবেশ একবার নষ্ট করলে আগামী ৫০ বছরেও  তা ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না। সর্বশেষ বলতে চাই, ‘সিআরবি’র শতবর্ষী বৃক্ষে করাত বসানোর সাহস দেখাবেন না।’’

জলবায়ু ও পরিবেশ কর্মী এবং সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকার বলেন, ‘আজকে দেশের সর্বত্রই পরিবেশ ধ্বংসের মহোৎসব চলছে। দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশকে সংকটাপন্ন করে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব? মুখে মুখে টেকসই উন্নয়নের কথা বলা হলেও বাস্তবে পরিবেশকে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। বেশকিছু প্রকল্পে এটা প্রমাণিত। কে কীভাবে পরিবেশের ক্ষতি করবে, তার প্রতিযোগিতা চলছে। একদল দেশের পরিবেশ নিয়ে অর্থের খেলায় মেতে উঠেছে। অর্থের জন্য এবার সিআরবি’কে ইউনাইটেডের হাতে তুলে দিয়েছে। এই সব অর্থলোভীরা কিছুদিন আগে গাছ কেটে ঢাকার ফুসফুসে আঘাত করেছিল। এখন আবার চট্টগ্রামের ফুসফুসে আঘাত করার উদ্যাগে নিয়েছে। আর এদের বিচরণ সবখানে রয়েছে। দিনকে দিন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েছে।’

মানববন্ধনে সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।