১১তম বেতন গ্রেড চায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা

দফতরিক সব কাজ করার পরও  তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা নানা ধরনের বৈষ্যমের শিকার হয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ। তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন গ্রেড ১১তম করা এবং শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আরও বাড়ানোসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে তারা। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পরিষদটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে পরিষদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের ৮ ঘণ্টা ডিউটি করার কথা থাকলেও প্রয়োজনে ১২-১৬ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়। এরপরও বেতন-ভাতায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি শুরু করে এই পদেই চাকরি জীবনের সমাপ্তি ঘটে। কোনও পদান্নতি হয় না। স্কুল-মাদ্রাসার সব কাজ তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা করলেও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ট্রেনিং গ্রহণ করেন শিক্ষকরা।’

তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে—পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদ সৃষ্টি করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিংয়ের দ্রুত ব্যবস্থা করা; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকরিবিধি-২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বড়িতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা এবং সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূরুজ্জামান, তারেকুর রহমান, শহিদুল করিম, মাসুদুর রহমান, আব্দুল হান্নান, আব্দুল কাদের, ইয়াসিন আলী, শামীম পারভেজ, এস.এম গোলজার হোসেন, তুষার আহমেদ, খোরশেদ আলম, সাইদুল ইসলাম, কাজী আবুল বাশার, মিজানুর রহমান, জিয়াউর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মহিউদ্দিন মাতুব্বর, এমদাদুল হক প্রমুখ।