'শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করতে হবে'

করোনা সংক্রমণ কমে আসায় আগামী রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার নিলেও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ পরিপালনে প্রতিষ্ঠানগুলো যথেষ্ট প্রস্তুত হতে পারেনি বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাস্ক পরতে জনসচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহের ওপর জোর দেন তিনি।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে একাত্তর টেলিভিশন আয়োজিত টকশো 'একাত্তর জার্নাল'-এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

টকশোতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য ডা. এ এস এম আলমগীর জানান, স্কুলে আসার অন্যতম শর্ত মাস্ক পরা। কারো মাস্ক না থাকলে স্কুল কর্তৃপক্ষ মাস্ক সরবরাহ করবে। শুরুতেই বিদ্যালয়ে একসাথে সবাইকে আনা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে ক্লাস ভাগ করে স্কুলে আনা হবে শিক্ষার্থীদের।

নূর সাফা জুলহাজের সঞ্চালনায় টকশো অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক আহকাম উল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন পর স্কুলে যখন শিক্ষার্থীরা আসবে তখন তাদের বন্ধুদের সাথে কিভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে মিশবে, এগুলো ঠিকমতো মনিটরিং করা হবে কিনা - এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, স্কুল খোলার মাঠ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার আধুনিক যন্ত্রের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণ জ্বর মাপার থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মেপে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করানো যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ ও অবাস্তব।

একাত্তর টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান রকিব উদ্দিন পান্নু ও রাজশাহী প্রতিনিধি রাশিদুল হক রুশো অনুষ্ঠানে যুক্ত থেকে নিজ নিজ এলাকার স্কুল খোলার প্রস্তুতির চিত্র তুলে ধরেন। তারাও অপ্রতুল ব্যবস্থাপনার কথা জানান।

অনুষ্ঠানে স্কুল খোলার প্রস্তুতির বিষয় ছাড়াও দিনের আলোচিত অন্যান্য খবরের বিশ্লেষণও প্রাধান্য পেয়েছে। এরমধ্যে ছিলো  করোনার টিকার মজুত ও সরবরাহ, প্রতারণা করে এহসান গ্রুপের কোটি কোটি টাকা লোপাট, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, ৯/১১ হামলার দুই দশক পূর্তিসহ ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের ঘটনা।