‘চলতি মাসেই সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া সম্ভব’

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (১৫ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের টকশো ‘একাত্তর জার্নালে’ প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের কর্মকর্তারা আশাবাদী বলেও জানান তিনি।

তিনি দাবি করেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ৮০ শতাংশের টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১ লাখ ৩১ হাজার। সারা দেশে মাত্র ১২ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীর কোভিড প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নেওয়া বাকি আছে’। যা দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে মনে করেন অধ্যাপক আলমগীর।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর সামাজিক দূরত্ব মানা অসম্ভব বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। ফলে যেকোনও চ্যালেঞ্জ সবার সমন্বিত চেষ্টায় মোকাবিলা করতে হবে।

উল্লেখ্য, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করোনা প্রতিরোধী টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন, আবার যে যেখানে আছেন স্থানীয় টিকাকেন্দ্রে গিয়েও টিকা নিতে পারবেন। আর সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বরের পরে যে কোনও দিন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারবে।   

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন।