আরব আমিরাত ল্যাবের অনুমোদন দিলে ফ্লাইট চলবে: বেবিচক চেয়ারম্যান

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেছেন— আমরা চাচ্ছি, স্বাস্থ্য অধিদফতর বিমানবন্দরে যে ল্যাবটি বসিয়েছে, এটা যেন ব্যবহার করে যাত্রীরা যেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে যে ছয় প্রতিষ্ঠানের ল্যাব আছে,এগুলোর অনুমোদন যদি আজ  বিকালের মধ্যে হয়, তাহলে ফ্লাইট চলাচল হবে। বিশেষ ফ্লাইট আপাতত আর দেবো না।’

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজকেও এমিরেটসের একটি ফ্লাইট ছিল। আমি সেটি বাতিল করে দিয়েছি। তাদের একটু চাপে রাখার কারণে এটা করেছি। আরব আমিরাতের নির্দেশনা অনুসারে— বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেটা গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রস্তুত হয়েছে এবং আজ  থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। সঙ্গত কারণে আজ যাত্রীরা যেতে পারছেন না। এর কারণ হলো, ছয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে (এসওপি) আমিরাতের সম্মতি থাকতে হবে। এটি আমরা দুই সপ্তাহ আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সেখানে এটা এখনও বিবেচনায় আছে।’

মফিদুর রহমান বলেন, ‘এসওপির সম্মতি দ্রুত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে সোমবার পর্যন্ত এটা হয়নি। এসওপি সম্মতি না পাওয়ায় শুরু করা যায়নি। ছয়টি প্রতিষ্ঠান কেন, আমিরাত সে প্রশ্ন তুলেছিল। একটা প্রতিষ্ঠান হলে আমিরাতের সুবিধা হবে। ছয় প্রতিষ্ঠানের একেক প্রতিষ্ঠানের একেক ধরনের যন্ত্র। এটার টেকনিক্যাল দিকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমিরাত জানতে চেয়েছে— কে কীভাবে করতে চায়, এ জন্যই ছয়টি আলাদা এসওপি হয়েছে। এসওপিগুলো দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। আমিরাতের কমিটি যাচাই-বাছাই করছে। আমাকে দু’জন রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, এটা শেষ পর্যায়ে আছে। আমার ধারণা সবাই অনুমোদন পাবে।’

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আরব আমিরাতের অনুরোধে ও এমিরেটসের উদ্যোগে কয়েকটা ফ্লাইট গেছে পরীক্ষামূলকভাবে। এসব ফ্লাইটে ব্যবসার উদ্দেশ্যে এবং জরুরি কিছু যাত্রী পাঠানো ব্যবস্থা করে দূতাবাস। এই যাত্রীদের পরীক্ষার জন্য ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সংস্থাকে নির্বাচিত করে আমিরাত। সেই প্রতিষ্ঠানে করোনার পরীক্ষার পর তাদের আমিরাতে পাঠানো হয়েছে। দুইটি ফ্লাইট এভাবে গেছে। বেবিচক তাদের অনুরোধ রক্ষা করেছে।’