‘জিওটেক্সটাইল মোড়ানো বাঁধ ভূমিকম্প প্রতিরোধী’

নরম মাটিতে জিওটেক্সটাইল মোড়ানো খাড়া বাঁধ ভূমিকম্প প্রতিরোধী এবং টেকসই। ভূমিকম্প অথবা ওয়েভ (সাইনসয়ডাল)-এর সময় বাঁধের বিভিন্ন স্তরের গতিশীল গুণাবলি কী রকম পরিবর্তন হয়, সেটা বিবেচনায় নিয়ে ডিজাইন করলে বাঁধটি ভূমিকম্প প্রতিরোধী ও টেকসই হবে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর পুরকৌশল বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

সেমিনারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘মোড়ানো বাঁধ বিভিন্ন জিওটেক্সটাইল দিয়ে পেঁচানো থাকে এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বালু (সিমেন্ট বালু অথবা লোকাল বালু) দিয়ে পূর্ণ করা হয়। এই বাঁধ খাড়া হবার কারণে প্রচলিত বাঁধের তুলনায় দুই পাশের কৃষিজমি অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন হবে না। এ ধরনের বাঁধ তৈরি করার সময় দুই ধরনের ওভেন অথবা নন-ওভেন জিওটেক্সটাইল ব্যবহার করা হয়। মোড়ানো বাঁধ নরম মাটির গুণাবলির পারস্পরিক অবস্থান, ভৌগোলিক অবস্থা এবং ইজিএল-এর ওপরে নির্ভর করে বিভিন্ন লেয়ারের হয়ে থাকে।’

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভূমিকম্প বা বিভিন্ন ওয়েভের সময় নরম মাটির ওপরে নির্মিত বাঁধের গতিশীল গুণাবলি বিশ্লেষণ করা এবং এমন ধরনের বাঁধ নির্মাণ করা, যেটা ভূমিকম্প প্রতিরোধী হবে। পাশাপাশি গতানুগতিক বাঁধের তুলনায় কম খরচে এই বাঁধ নির্মাণ করা যাবে এবং এটি নির্মাণে কম জায়গার প্রয়োজন হবে।’

বক্তারা আরও বলেন, মোড়ানো বাঁধ সরকারের ব্যাপক জমি অধিগ্রহণের ব্যয় কমিয়ে দেবে। বাঁধটি খাড়া হবার কারণে দুই পাশের জায়গা প্রয়োজন হবে না।

অনুষ্ঠানে আইইবি পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূরের সভাপতিত্বে এবং বিভাগের সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান এবং এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর রশীদ খান। স্বাগত বক্তব্য দেন—আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু)। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ড. ইঞ্জিনিয়ার রিপন হোড়। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী আহমেদ আনসারী।