ইভ্যালির কার্যক্রম বন্ধ করে সমাধান হবে না, দাবি ভুক্তভোগী গ্রাহকদের

ইভ্যালির কার্যক্রম বন্ধ করে কোনও সমাধান হবে না বলে দাবি করেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির সাথে সম্পৃক্ত মার্চেন্ট এবং ভোক্তারা। তারা বলছেন, বরং ইভ্যালিকে ব্যবসা করতে দিয়ে আটকে থাকা পণ্যগুলো ডেলিভারিসহ বাকি লেনদেন চালু রাখার সুযোগ দিলে ইভ্যালির সাথে জড়িত ক্রেতা-বিক্রেতাসহ দেশের ই-কমার্স প্লাটফর্ম উপকৃত হবে।

রবিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তিসহ ৭ দফা দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের সমন্বয়কারীরা বলেন, প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক ও প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি বিক্রেতা এবং ৫ হাজারেরও বেশি স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ইভ্যালির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা সফলভাবেই ইভ্যালির সাথে লেনদেন করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন এবং সিইও মোহাম্মাদ রাসেল আটক করে, ইভ্যালির নিয়মিত কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হয়। এতে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইভ্যালির সাথে সম্পৃক্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। 

তারা আরও জানান, ব্যবসার পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ বা সমন্বয়হীনতা থাকতে পারে, কিন্তু ইভ্যালিতে তুলনামূলক সেটার সংখ্যাও বেশি নয়। তবে আমরা মার্চেন্টরা নিজেরা সহায়তা করে ইভ্যালির কার্যক্রম গতিশীল রাখতে আগ্রহী থাকলে অন্য কারোতো সমস্যা থাকার কথা নয়।

ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তি ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে যে দাবিগুলো তোলা হয় তার মধ্যে রয়েছে,  মোহাম্মদ রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট এবং ভোক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে, করোনাকালে বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ বাধ্যতামূলক লাইসেন্স নিতে হবে এবং ই-কমার্স সেক্টরকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।