খাদ্যে ভেজাল বন্ধে বৈষম্য ছাড়াই আইন প্রয়োগের সুপারিশ

তৈরি পোশাক শিল্পের পর কৃষি পণ্য খাতকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রফতানির খাত হিসেবে দেখছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে খাদ্যে বিষ বা ভেজাল রোধে সরকারের প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ ১১ দফা সুপারিশ জানিয়েছে সংগঠনটি থেকে। 

শনিবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে পবা আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১ উপলক্ষে এক সেমিনার থেকে এসব সুপারিশ জানানো হয়।

সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে সেন্টার ফর ইনডিজিনিয়াস নলেজের (বারসিক) সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট ও দুর্যোগপূর্ণ দেশ হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধান, মাছ ও সবজি উৎপাদনে এগিয়ে চলেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে বিগত চার বছরে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। 

সংগঠনটির পক্ষ থেকে, খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি মেশানোর সঙ্গে জড়িত এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদিযুক্ত ও ভেজাল খাদ্য বিক্রয়কারীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ড প্রদান অব্যাহত রাখা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থের আমদানিকারক ও ব্যবহারকারী এবং লেবেল ছাড়া বা ভুয়া লেবেলের অধীন কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে কৃষক, উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের রাসায়নিক দ্রব্যাদি, কীটনাশক, ভেজাল মিশ্রণের ক্ষতিকর দিক এবং আইনে বর্ণিত দণ্ড তুলে ধরে সচেতন করাসহ ১১ দফা দাবি করেন।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী  আব্দুস সোবাহান, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ, বারসিকের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস প্রমুখ।