চট্টগ্রাম কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধিতে ভারতীয় হাইকমিশনের শ্রদ্ধা

চট্টগ্রাম যুদ্ধ সমাধিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কমনওয়েলথ দেশগুলোর হয়ে লড়াই করে মৃত্যুবরণকারী সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিদল। 

রবিবার (১৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশন। এসময় তাদের সঙ্গে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।

১৯৪১-১৯৪৫ সালে মিয়ানমারে (তৎকালীন বার্মা) সংঘটিত যুদ্ধে ৪৫ হাজার কমনওয়েলথ সৈনিক নিহত হন। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে মিয়ানমার, ভারত এবং বাংলাদেশে ৯টি যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশে দুটি সমাধিক্ষেত্র আছে, যার একটি চট্টগ্রামে। অপরটি ‘ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি’ কুমিল্লা জেলায়।

চট্টগ্রামের এই সমাধিক্ষেত্র সম্পর্কে ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, চট্টগ্রামের গভীর নৌ-বন্দর আরাকানে অপারেশন পরিচালনার জন্য একটি উৎকৃষ্ট ঘাঁটি এবং একটি উল্লেখযোগ্য হাসপাতাল কেন্দ্র ছিল। মূলত হাসপাতালের মৃতদের জন্য তৈরি সমাধিস্থলটি বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন স্থান থেকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য সম্প্রসারণ করা হয়েছিল এবং এতে ৭৫১টি যুদ্ধসমাধি রয়েছে, যার মধ্যে ১৪ জন নাবিক,  ৫৪৫ জন সৈন্য এবং ১৯৪ জন বিমানবাহিনীর সদস্য রয়েছে। এছাড়াও এই যুদ্ধ সমাধিতে বিশ্বযুদ্ধের নয় এমন চারটি সমাধিও রয়েছে। 

চট্টগ্রামের এই সমাধিক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, বার্মা (মিয়ানমার), নেদারল্যান্ডস, জাপান এবং অবিভক্ত ভারতের সৈন্যদের সমাধি রয়েছে বলেও উল্লেখ করে হাইকমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমাধিস্থলের প্রবেশদ্বারে চট্টগ্রাম স্মৃতিসৌধ রয়েছে যা রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি এবং মার্চেন্ট নেভির ৬৪৬৯ জন নাবিকদের স্মরণ করে যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সমুদ্রে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

হাইকমিশন বলছে, ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করছে, তখন আমরা শ্রদ্ধার সাথে সেসব সাহসী নারী-পুরুষদের স্মরণ করি যারা আমাদের আগামীর জন্য নিজেদের বর্তমানকে বিসর্জন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয়দের আত্মত্যাগ মিত্রদেশগুলির বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ছিল; কারণ ভারতীয় সৈন্যরা যুদ্ধের সমস্ত ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন।