মুগদা হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণে নার্সসহ দগ্ধ ৯

রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় এসি বিস্ফোরণে স্টাফ-নার্সসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। পরে তিন জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন নার্স মনিকা পেরেরা (৪০), তার শরীরের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া মেরী (২৬) ২০ শতাংশ, রুমি খাতুন (৩১) ৮ শতাংশ এবং শাহিনা আক্তার (৪০) ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।  দগ্ধদের মধ্যে আরও রয়েছেন ওয়ার্ড বয় নাজমুল হক (২১), কার্ডিওগ্রাফার জহিরুল মজুমদার (৩০), সাইদুল ইসলাম (৩৮), আলমগীর (২৬),ওমর ফারুক (৩০)।

এদের মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকিদের অবজারভেশনে রাখা হয়, পরে তাদের ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। আবার কয়েকজনকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বার্নের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল এসব তথ্য জানান। 

দগ্ধ একজনওয়ার্ড বয় নাজমুল জানান, তিনি আগুনের সময় ফ্লোর ঝাড়ু দিচ্ছিলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে গ্লাস ভেঙে যায়। তিনি বলেন, ‘মনে হলো কে যেন আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।’

নার্স রুমী খাতুন বলেন, ‘আমি আইসিইউতে ডিউটি করি। কোভিড থেকে নন-কোভিড করা হচ্ছিল। সেখানে কোনও রোগী ছিল না। আমি করিডোরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে নামার জন্য বের হচ্ছিলাম, ততক্ষণে আগুনে আমার শরীর দগ্ধ হয়ে যায়।’

টিকা নিতে আসা সাইদুল জানান, তিনি তার পরিচিত একজনকে খোঁজ করতে ষষ্ঠ তলায় গিয়েছিলেন। তখন তিনি আহত হন।

ওই হাসপাতালের ইকো টেকনিশিয়ান তাহাজুদ মিয়া বলেন, ‘আইসিইউ, ক্যাথল্যাবসহ তিনটি ইউনিট একই ফ্লোরে। সেখানে সংস্কারে কাজও চলছিল। এসি বিস্ফোরণে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছি।’