পাঠ্যপুস্তকে সংবিধান সংযোজনের আহ্বান

জাতি গঠনের জন্য সংবিধানের তাৎপর্য সমাজের সবাইকে বোঝাতে হবে এবং এজন্য পাঠ্যপুস্তকে বিষয়টি সংযোজনের ওপর জোর দিয়েছেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘জাতি গঠন ও সংবিধান’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রাইমারি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষার প্রতিটি স্তরে সংবিধানের বিষয়টি মাথায় রেখে পাঠ্যপুস্তক তৈরির ওপর জোর দেন তিনি।

ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, পাঠ্যপুস্তক তৈরি এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে কিন্তু এটিকে আদর্শে পরিণত করতে হবে।

সংবিধানের প্রস্তাবনা একটি শপথের মতো জানিয়ে তিনি বলেন, স্কুলে যখন জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়, তখন প্রস্তাবনা পাঠ করলে শিশুরা এ বিষয়ে জানতে পারে।

অনুষ্ঠানে দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হলে অসাম্প্রদায়িক হতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু সংবিধানের চার মূল স্তম্ভের যে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সেভাবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া দরকার।

শাসনতন্ত্র বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে উদ্ধৃত করে দীপু মনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে শাসনতন্ত্র ব্যবহার করবে তার ওপর নির্ভর করবে এর সাফল্য।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বারবার বাংলাদেশ ও শাসনতন্ত্র ক্ষতবিক্ষত হয়েছে এবং এর বোঝা আমরা বহন করছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আরও ভালো করতে পারতো যদি তাদেরকে এই ক্ষতের বোঝা বহন করতে না হতো।

বিলিয়ার পরিচালক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন সরকার আলি আক্কাস মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, সিনিয়র আইনজীবী তানিয়া আমির ও ভারতের বুদ্ধিজীবী অর্ঘ সেনগুপ্ত বক্তব্য রাখেন।