খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) তিনি কূটনীতিকদের জানান, খালেদা জিয়া দেশের যেকোনও স্থানে চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং তার জন্য বিদেশ থেকে যেকোনও চিকিৎসক আনারও অনুমতি রয়েছে।

রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের ড. মোমেন বলেন, ‘(আমি কূটনীতিকদের বলেছি) সরকারের (খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে) কিছুই করার নেই, (তবে) যদি তিনি (খালেদা) চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান, তাহলে তাকে তা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে। তিনি দেশে যেকোনও জায়গায় চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া কারাবন্দি এবং সরকার বাংলাদেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে চায়।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয় ছাড়াও ড. মোমেন আসন্ন বিশ্ব শান্তি সম্মেলন, কপ ২৬-এ বাংলাদেশের ভূমিকা, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এবং চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ অন্যান্য চলমান বিষয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের বলেন, ‘সরকার দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

চলমান ইউপি নির্বাচন সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোকের অতি উৎসাহের কারণে কিছু সহিংসতা হলেও নির্বাচন অবাধে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের সময় একটিও প্রাণহানি দেখতে চাই না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের আগামী ৪ থেকে ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের বিষয়ে অবহিত করেন, যেখানে অনেক দেশের প্রতিনিধি যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি কূটনীতিকদের ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর এবং এই বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির বিষয়ে অবহিত করেন।

ড. মোমেন বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে ১৯ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে এবং সরকার কোনও বাস্তুচ্যুতকে স্থানান্তরের জন্য চাপ দেবে না। কেননা, সেখানে উন্নত জীবনযাপন বেছে নেওয়া রোহিঙ্গাদেরই পছন্দ।’

বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফররত সৌদি আরবের পরিবহন ও লজিস্টিক সার্ভিসমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার সালেহ বিন নাসের বিন আলী আল-জাসেরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

বৈঠকে ড. মোমেন সৌদি এন্টারপ্রাইজগুলোকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

জবাবে সৌদি মন্ত্রী জানান, অন্তত ৩০টি সৌদি বেসরকারি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। খবর: বাসস